কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়েই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশির ভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের অজ্ঞকার কারণে । কম্পিউটার একটা Tool এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে । এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময়ই অভিবাবকরা ধরে নেন এটা দিয়ে যা কিছুই করা হয় সেটাই বুঝি ভালো ,তাই যখন তারা দেখেন তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে তারা বুঝতে পারে না তার মাঝে সতর্কতার ব্যাপার রয়েছে । কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন এবং এই বিনোদনের নানা রকম মাত্রা রয়েছে । যারা সেটি খেলছে তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসাবে নিয়ে মাত্রার ভেতরে ব্যবহার করলে সেটি যেকোনো সুস্থ বিনোদনের মতো হতে পারে । কিন্তু প্রায় সময় সেটি ঘটে না । দেখা গেছে একটি ছোট শিশু থেকে পূর্ন বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে । কোরিয়ায় একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘন্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলো , চীনের এক দম্পতি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশু সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছিলো । এই উদাহরনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মোটেও বিচিত্র কিছু নয় এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যেতে পারে ।

Addiction damage in computer games kaziitzone
কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার গেমে আসক্তির বিষয়টি যেহেতু নতুন ,তাই সেগুলো নিয়ে গবেষনা এখনো খুব বেশি হয়নি । কিন্তু ভবিষ্যতে পুরো বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা আরো নিশ্চিতভাবে দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন ।এখনেই গবেষণায় দেখা গেছে কোনো একটা কম্পিউটার গেমে তীব্রভাবে আসক্ত একজন মানুষের মস্তিস্কের বিশেষ উত্তেজক রাসায়নিক দ্রব্যের আবির্ভাব হয় । শুধু তাই নয় যারা সপ্তাহে অন্তত ছয় দিন টানা দশ ঘন্টা করে কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের মস্তিস্কের গঠনেও এক ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায় ।
কাজেই কম্পিউটার গেম চমৎকার একটা বিনোদন হতে পারে – কিন্তু এতে আসক্ত হওয়া খুব সহজ এবং তার পরিনতি মোটেও ভালো নয় , সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে ।